বাংলাদেশের পরিচিতি :
বাংলাদেশ পরিচিতি :
বাংলাদেশ-
বাংলাদেশ নামটি সাবার কাছে পরিচিত। দেশ টি দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ ।এর আয়তন 1.47.570 বর্গ কিলোমিটার ।আয়তনে দেশটি ছোট হলেও দেশটি একটি শান্তি প্রিয় দেশ ।1971 সালে পশ্চিম পাকিস্থানের কাছ থেকে দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে।নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর দেশ টি স্বাধীনতা আনতে সক্ষম হয়। এজন্য প্রাণ দিতে হয় 30 লক্ষ মানুষকে । তবু ও বাংলাদেশ মাথা নোয়াবার নয়। স্বাধীনতাকে তারা ছিনিয়ে এনেছে।সৃষ্টি হয়েছে একটি স্বাধীন স্বার্বভূম রাষ্ট্রের । স্বাধীনতা পর বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক দিয়ে খুবই দূর্বল হয়ে পড়ে।কারন পশ্চিম পাকিস্থানিরা এদেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় এদেশের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়ে যায়। সমস্ত রাস্তা-ঘাট পুল ব্রিজ সব কিছু তছনছ করে দিয়ে চলে যায় পাকিস্থানি হায়নারা।
দেশটির ভৌগলিক আবস্থান :বাংলাদেশের পূর্বে রয়েছে আসাম ত্রিপুরা মিজোরাম, পশ্চিমে আছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। উত্তরে রয়েছে পশ্চিম বঙ্গ আসাম মেঘালয় রাজ্য। এবং দক্ষিনে আছে সুবিশাল বঙ্গোপসাগর ।
নদনদী :বাংলাদেশের বুক চিরে বয়ে গেছে শত শত নদ ও নদী ।পদ্মা, মেঘনা, যমুনা বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান নদী হিসাবে পরিচিত ।বাংলাদেশের বুক চির বয়ে গেছে প্রায় 230 টি উপরে নদী । তাই বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ হিসাবে পরিচিত । মৎস্য সম্পদ বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সম্পদ হিসাবে পরিচিত ।এ দেশের অধিকাংশ মানুষ মাছ চাষ,ও মৎস্য শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে।ইলিশ বাংলাদেশের একটি অন্য তম প্রধান রপ্তানি মুখী সম্পদ,ইলিশ মাছ বিদেশে রপ্তানি করে বাংলাদেশ বহু বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে। বাংলাদেশের দক্ষিন অঞ্চল,তথা সাতক্ষীরা,খুলনা,বাগেরহাট,ভোলা,পটুয়াখালি জেলাতে লোনা পানির চিংড়ি মাছ চাষ করা হয়। প্রতিবছর বাংলাদেশ চিংড়ি মাছ রপ্তানি করে বহু বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে।
বাংলাদেশের খনিজ সম্পদ :বাংলাদেশ খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধি শালী নয়। এদেশে কিছু কিছু খনিজ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে কিন্তু উন্নত প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতির অভাবে এই খনিজ সম্পদ গুলো উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশের খনিজ সম্পাদের মধ্যে প্রধান হলো প্রাকৃতিক গ্যাস ।বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেলেও তা সম্পূর্ন রুপে উত্তোলন করা সম্ভব নয়। আরও রয়েছে আকরিক লোহা,চুনাপাথর,কয়লা,চীনা মাটি ইত্যাদি ।
বাংলাদেশের রপ্তানি মুখী শিল্প: বাংলাদেশের রপ্তানি মুখী শিল্পের মধ্যে রয়েছে,পোষাক শিল্প । রপ্তানিতে পোশাক শিল্প বিশ্বর 2য় তম। বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি মুখী শিল্প হলো চিংড়ী শিল্প । এছাড়া পাট ও পাট জাত দ্রব্য বিদেশে রপ্তানি করে বাংলাদেশ প্রতি বছর প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে। পোশাক বা গার্মেন্টস শিল্পে বাংলাদেশের বহু নরী ও পুরুষ নিয়োজিত আছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পোশাক শিল্প গড়ে উঠেছে।
সমুদ্র বন্দর:বাংলাদেশের কয়েক টি সমুদ্র বন্দর রয়েছে এদের মধ্যে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর তন্যতম । চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্ব পুর্ন ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে আরেকটি সমুদ্র বন্দর হলো মংলা সমুদ্র বন্দর ।প্রতি বছর এই সমুদ্র দিয়ে দেশের অধিকাংশ আমদানি রপ্তানি কাজ সম্পন্ন হয়ে থাকে ।
বাংলাদেশের মুদ্রা :বাংলাদেশের মুদ্রার নাম টাকা । বাংলাদেশের 86 টাকা সমান আমেরিকান 1 ইউএস ডলার। utube
No comments